ঘরে বসে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করার টিপস এবং ট্রিকস
ঘরে বসে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করার টিপস এবং ট্রিকস।
পোস্ট সূচিপত্র
চলুন আজকের পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কিভাবে ঘরে বসে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করা যায়।
প্রথমত আপনার লক্ষ স্থির রাখতে হবে যে কোন কোন বিষয় গুলো
আপনার মধ্যে আছে মানে কোন কোন বিষয়ে আপনার মধ্যে আগ্রহ বেশি আছে। সেটি হতে পারে
ব্যাবসা, দোকান, অনলাইন মার্কেটিং, ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানিয়ে নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট
বিক্রি করে ইনকাম,বাজারে যেকোনো দোকান দিয়ে সেই দোকানে পন্য বিক্রি করে
ইনকাম, রাস্তার পাশে ফুটকার্ট দিয়ে অল্প বিনিয়োগে অধিক ইন কাম করা সম্ভব,জুতার
দোকান থেকে , জামার দোকান থেকে, মূল বিষয় গুলো হলো আপনি যে বিষয়ে বেশি দক্ষ
সেই বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে ইনকাম করার রাস্তায় নামা আপনার জন্য ভালো।
বর্তমানে অনলাইন ফেসবুক পেজ দিয়ে যেকোনো পন্য বিক্রি করেও মাসে অধিক লাভবাব হওয়া
যায়।
চলুন এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করবো কিভাবে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করা যায় নির্দিষ্ট
কিছু কাজ করে যেগুলো কাজ থেকে আপনি মাসে লাখ টাকার ও বেশি আয় করতে পারবেন
এর মধ্যে কিছু ব্যাবসায়িক বিষয় আলোচনা করবো যেগুলো ব্যাবসা করে মাসে লাখ
টাকা ইনকাম করা সম্ভব বাংলাদেশে বসে। চলুন দেখে নিই লাখ টাকা ইনকাম করার
টিপস গুলো।
"লাখ টাকা আয় করা" কথাটি শুনলে অনেকেই ভাবেন এটা শুধু ভাগ্যবান বা ধনী পরিবারে
জন্মগ্রহণকারীদের পক্ষেই সম্ভব। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সঠিক পরিকল্পনা, কঠোর
পরিশ্রম, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও ধৈর্যের মাধ্যমে সাধারণ মানুষও নিজের হাতেই কোটি
টাকার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারে। এই কনটেন্টে আমরা আলোচনা করবো কীভাবে আপনি
ধাপে ধাপে একটি কোটি টাকার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন ব্যবসা, বিনিয়োগ,
ফ্রিল্যান্সিং, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ও আরও অনেক কিছু নিয়ে।
প্রথম ধাপ : সম্ভবনাময় খাত নির্বাচন
বাংলাদেশে প্রেক্ষাপটে লাখ টাকা আয়ের জন্য বেশ কয়েকটি খ্যাত বিশেষ
ভাবে সম্ভবনাময় নিচে সেগুলো আলোচনা করতেছি।
১: ব্যাবসা
ব্যাবসা হলো লাখ টাকা উপার্জনের সবচেয়ে চিরন্তন ও কার্যকর ম্যাধম। নিচে কিছু
লাভজনক ব্যাবসার উদাহরন দেওয়া হলো :
(ক) ই কমার্স
বাংলাদেশে ই-কমার্স খাত ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে এবং বর্তমানে জনপ্রিয় একটি
খ্যাত। আপনি চাইলে নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট বা পন্য নিয়ে কাজ করতে পারেন। নিচে
কিছু ই-কমার্স পন্যর লিস্ট দিচ্ছি দেখে নিন :
- ফ্যাশন ও অ্যাপারেল
- হ্যান্ডমেড পন্য
- ঘর সাজানো পন্য
- বাচ্চাদের খেলনা
- বাড়ি ডেকোরেশন পন্য
যেভাবে শুরু করবেন?
একটি ফেসবুক পেজ খুলুন
ছোট একটি ওয়াকসপ বা হোম অফিস তৈরি করুন যেখানে আপনার পন্য গুলো স্টক/জমা রাখতে
পারেন অবশ্যয় ভালো জায়গা হতে হবে। বাসার ফাকা রুমে অথবা বাজারের মার্কেটে
কোনো দোকান নিয়ে যাতে কাস্টমার রা আপনার দোকানে গিয়েও পন্য কিনতে
পারে।
কাস্টমার দের চাহিদায় মনোযোগ দিন
কাস্টমার দের সার্ভিস এ মনোযোগী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
২ : রেস্তোরাঁ বা ফুড বিজনেস
যেমন : ফুড কার্ট, ফাস্টফুড রেস্টুরেন্ট।
খাদ্য ব্যাবসা সবসময় লাভজনক। আপনি চাইলে ঘরে বসে হোমমেড খাবার দিয়ে শুরু করতে
পারেন।
৩: এগ্রো বিজনেস / ব্যাবসা
বাংলাদেশের মাটিতে চাষাবাদ ও খামার ভিত্তিক উদ্যোগ।
ফাঁকা কোনো জায়গায় খামার ভিত্তিক উদ্দোক্তা হয়ে সেটি হতে পারে ব্রয়লার মুরগির
খামার, লেয়ার ডিম পাড়া মুরগির খামার, দেশি মুরগীর খামার, দেশি হাঁস এর খামার
প্রথমে অল্প বিনিয়োগে শুরু করতে পারেন পরে আস্তে আস্তে বড় করতে পারবেন। মাছ চাষ
করে লাখ টাকা ইনকাম করা অনেক সহজ এটিও পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন । গরুর
খামার করে ব্যাবসা করা অনেক সহজ বর্তমানে বাংলাদেশে বিদেশি গরুর খামার এর সংখ্যা
অধিক হয়েছে।বিদেশি জার্সি গরুর খামার থেকে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করা সম্ভব
প্রমানিত এবং এটি অধিক লাভজনক আপনি যদি গ্রাম এলাকায় থাকেন তাহলে এই ব্যাবসা
আইডিয়া টা আপনার জন্য সেরা হবে। এগুলো থেকে অধিক লাভজনক হওয়া যায় অল্প সময়ে।
৪: অনলাইন থেকে আয়
(ক) ফ্রিল্যান্সিং
বিশ্বের সেরা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেস যেমন : Upwork, Fiver, Freelancer.com
এগুলো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেস থেকে আপনি মাসে লাখ টাকার অধিক আয় করতে
পারবেন। এর জন্য প্রয়োজন চাহিদা সম্পন্ন কাজের স্কিল / দক্ষতা।
যেমন : ওয়েব ডিজাইন ও ডেভলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও
এডিটিং, কনটেন্ট রাইটিং।
(খ) ইউটিউবিং এবং কনটেন্ট ক্রিয়েশন
ইউটিউব একটি বড় ইনকাম সোর্স হতে পারে যদি আপনি কনসিস্টেন্টলি ডেইলি সুন্দর সুন্দর
কনটেন্ট আপলোড করেন। এর জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট বিষয়ে কনটেন্ট বানানোতে মনোযোগ
দিতে হবে এবং পরিশ্রম করে যেতে হবে।
যেভাবে কনটেন্ট আপলোড করে আয় হয়।
- AdSence
- Sponsorship
- Affiliate Marketing
- Advertisement
(গ) ব্লগিং
নিজস্ব লাইফ স্টাইল ব্লগ তৈরি করে অল্প সময়ে আয় করা সম্ভব এর জন্য প্রয়োজন ভালো
মানের ক্যামেরা, ডেক্সটপ ভিডিও এডিট করার জন্য বিশেষ করে বিদেশি ট্রাফিক
থাকলে বেশি আয় হয়।
বাংলাদেশে ব্লগ করার উপায় গুলো
যেমন : ফুড ব্লগ, মটো ব্লগ, বাইক স্টান্ট ব্লগ, ট্রাভেল ব্লগ বাংলাদেশের জনপ্রিয়
ট্রাভেল ব্লগার নাদির অন দ্যা গো তার ভিডিও দেখে ট্রাভেল ব্লগ শুরু করতে
পারেন।
৫ : বিনিয়োগ
বাংলাদেশে DSE এবং CSE এর মাধ্যমে আপনি শেয়ার কিনে দীর্ঘমেয়াদে লাখ টাকা লাভ করতে
পারেন তবে এটি একটু ঝুকিপূর্ণ। শিক্ষা প্রাপ্ত ও গবেষণা করে নামুন / শুরু করুন।
(ক) রিয়েল এস্টেট
ফ্লাট বা জমিতে বিনিয়োগ দীর্ঘমেয়াদে ভালো রিটার্ন দেয় অধিক লাভবান হওয়া
যায়।
(খ) স্বর্ন ও ক্রিপ্ট (সতর্ক থাকুন)
সোনা / স্বর্ন একটি নিরাপদ বিনিয়োগ মাধ্যমে। ক্রিপ্টকারেন্সি থেকে ও অধিক আয় করা
সম্ভব তবে এটি এখনো ঝুঁকিপূর্ন ও সীমিত।
৬: দক্ষতা বৃদ্ধি এবং শিখতে থাকা
আপনি যদি প্রতি বছর নির্দিষ্ট ব্যাবসায়িক দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারেন
তাহলে আপনার অধিক আয় করার সম্ভবনা অনেক আগাবে।
যে যে স্কিল গুলো শিখবেন
ইংরেজিতে দক্ষতা
সফট স্কিল ( কমিউনিকেশন, টাইম ম্যানেজমেন্ট)
ডেটা এনালাইসিস
কোডিং ( যেমন : Javascript , Python)
এগুলো ইউটিউব ভিডিও থেকেও শেখাযায় ফ্রী, Coursera,Udemy(Paid), LinkedIn
Learning এগুলো থেকে কোর্স কিনেও শিখতে পারেন।
৭: সঞ্চয় ও ব্যায় নিয়ন্ত্রণ
৭.১ সঞ্চয়ের অভ্যাস
আপনার মাসিক আয়ের অন্তত ২০% সঞ্চয় করুন, আলাদা এমাজেন্সি ফান্ড রাখুন, ফিক্সড
ডিপোজিট ও DPS ব্যাবহার করুন।
৭.২ বাজেটিং
মাসিক খরচ তালিকা করুন, অপ্রয়োজনীয় খরচ কমান, কুপন, ডিসকাউন্ট ব্যাবহার করার
চেস্টা করুন বাজারে।
টাকা আয় করা অসম্ভব কিছু নয়, বরং এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, কৌশল, এবং
নিরবচ্ছিন্ন পরিশ্রমের ফলাফল। আপনার দরকার:
-
লক্ষ্য স্থির করা
-
নিয়মিত শেখা ও স্কিল বাড়ানো
-
সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত
-
সঞ্চয় ও বিনিয়োগে সচেতনতা
-
ব্যর্থতাকে জয় করার মানসিকতা
৮ : ধাপে ধাপে লাখ টাকা অর্জনের রোডম্যাপ
বছর | উদ্দেশ্য | কার্যক্রম |
---|---|---|
১ম বছর | স্কিল ডেভেলপমেন্ট | শেখা, অনলাইন ইনকাম শুরু |
২য় বছর | আয় বৃদ্ধি ও সঞ্চয় | ইনকাম ডাইভার্সিফাই, ২৫% সঞ্চয় |
৩য় বছর | ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু | ইনভেস্টমেন্ট ও ব্র্যান্ডিং |
৪র্থ-৫ম বছর | ব্যবসা সম্প্রসারণ | টিম তৈরি, নতুন মার্কেট |
৬ষ্ঠ-৮ম বছর | ইনভেস্টমেন্ট | রিয়েল এস্টেট, শেয়ার বাজার |
৯ম-১০ম বছর | লাখ টাকা অর্জন |
মাল্টিপল ইনকাম স্ট্রিম তৈরি |
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url